Monday, September 19, 2016

স্মার্ট কার্ড বিতরণ ২ অক্টোবর

 ঢাকা জেলার ৫০ লাখ কার্ড মুদ্রণের কাজ শেষ হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার কার্ড মুদ্রণের কাজ চলছে। ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে ৯ কোটি কার্ড মুদ্রণের কাজ শেষ হবে এবং বিতরণের কাজ শেষ করা হবে ডিসেম্বরের মধ্যে।

বর্তমানে ভোটারসংখ্যা ১০ কোটির বেশি। কিন্তু প্রকল্পের টাকায় কার্ড দেওয়া হবে ৯ কোটি ভোটারকে। তবে এই প্রকল্পের মেয়াদেই সরকারি টাকায় অতিরিক্ত ১ কোটি ভোটারকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে।
কার্ড বিতরণের সময় নাগরিকদের বিদ্যমান কার্ড জমা নেওয়া হবে এবং তাঁদের ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের মণি স্ক্যান করা হবে। এই কার্ডের মেয়াদ হবে ১০ বছর।
কমিশন সচিবালয় থেকে জানা যায়, বর্তমানে যে কার্ড ভোটারদের হাতে রয়েছে, তা সাধারণ অফসেট কাগজে প্রিন্ট দিয়ে লেমিনেট করা। আর স্মার্ট কার্ড হবে প্লাস্টিকের তৈরি। সহজে নষ্ট হবে না।
বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের মেয়াদ এ বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্ড বিতরণের কাজ শুরু করার কথা ছিল ২০১৪ সালের শেষের দিকে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি। এ কারণে বিশ্বব্যাংক প্রকল্পের মেয়াদ ১৮ মাস বাড়িয়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করে।
জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিভাগের মহাপরিচালক সুলতানুজ্জামান মো. সালেহউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, স্মার্ট কার্ড বিতরণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নির্বাচন কমিশন নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২ অক্টোবর সময় দিয়েছেন। সে অনুযায়ী ওই দিন থেকে কার্ড বিতরণের কাজ শুরু হবে। আগামী বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। যে কারণে ওই সময়ের মধ্যে বিতরণের কাজ শেষ করতে হবে। আর সেটা করতে হলে কার্ড মুদ্রণের কাজ শেষ করতে হবে আগামী বছরের জুনের মধ্যে।
কমিশন সচিবালয় থেকে জানা যায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রপতির স্মার্ট কার্ড প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে হস্তান্তর করবেন। এরপর সিইসি প্রধানমন্ত্রীর হাতে কার্ড তুলে দেবেন। সবশেষে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যদের মধ্যে কার্ড বিতরণ করবেন। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সিইসি ও জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কার্ড ইতিমধ্যে মুদ্রণ করা হয়েছে।
নিবন্ধন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, স্মার্ট কার্ড প্রিন্টারে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ কার্ড মুদ্রণ করা সম্ভব এবং প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ৮০ হাজার কার্ড বিতরণ করা সম্ভব হবে। কার্ড বিতরণের জন্য সারা দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ক্যাম্প থাকবে। এ জন্য ১ হাজার ৫০০ জন অপারেটর নিয়োগ করা হয়েছে।

0 comments:

Post a Comment